বৈশাখী ঝড়

বিশ্বকাপ ক্রিকেট / নববর্ষ (এপ্রিল ২০১১)

তুষার কুমার রয়
  • ১৫
  • 0
  • ৬৭
বিকেলের মিষ্টি রোদে বৈশাখী ও পাভেল কলেজ প্রাঙ্গণে বসে আছে, চারিদিকে পাখির কিচির-মিচিরের আওয়াজ ছাড়া প্রকৃতি পুরোটা নিস্তব্ধ, নিঃশব্দ মনে হচ্ছে তাদের কাছে। পাভেল বললো, ‘চলো পার্কে গিয়ে গল্প করি’ ভালো লাগবে। বৈশাখী বললো, ‘পার্ক! সে তো অনেক দূর এখানেই তো ভাল লাগছে।‘
পাভেল বললো, ‘দূরে হয়েছে তো কি হয়েছে আমি আছি না। সেখানে আরও ভাল লাগবে।‘
পার্কে যেতে যেতে প্রকৃতির রঙ, রূপ, ভাব পাল্টাতে থাকল। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে, বাতাস যেন অন্যরকম গন্ধ ছড়াচ্ছে। গাছ গুলো নড়ে চড়ে উঠল, পাখীরা তাড়া হুড়া করে বাড়ী ফিরছে, বাতাসের বেগ আর আকাশের ভয়ঙ্কর রূপ দেখে বুঝতে বাকি রইল না অবস্থা সংকটাপন্ন, ঝড় আসছে। প্রকৃতির অবস্থা দেখে সবার যেন পালাবার উপক্রম, পার্কে আসাটা নির্ঘাত ভুল হয়েছে। পাভেল শুধু চলো যাই যাই, আসি আসি করছে। বৈশাখী পড়েছে বিপাকে, ও যবে কিভাবে! পাভেল বললো, ‘ভুল হয়ে গেছে, বেশি দূরে এসে গেছি। দুজনের বাসাই অনেক দূরে, তুমি তাড়াতাড়ি চলে যাও, আমি গেলাম। গাছের ডালপালা ভাঙ্গার শব্দ শোনা যাচ্ছে, বৈশাখীর ভিতরটাও মোচড় দিয়ে উঠল,তাকে একলা ফেলে এই স্বার্থপরটা চলে যেতে চাচ্ছে বাঁচার জন্য।সে নিশ্চুপ হয়ে রইলো, কিছু বলতে ইচ্ছে করল না তার। পাভেল চলে যেতেই কোথাকে এক টিনের চাল তীব্র বেগে এসে ধপাস করে পড়ল তার সামনে। দু তিনটে গাছ উপড়ে যেতে দেখে সে ভয়ে শিউরে উঠল। এক মধ্যবয়স্ক লোক তাকে দেখে কাছে আসল আর বললো, ‘ভিজে তো একেবারে চুপসে গেছিস, এই ঝড়ের রাতেও ঘরে থাকতে ইচ্ছে করে না, আজকে কোন খদ্দের পাবি না, ঘরে যা। কথা গুলো শুনে বৈশাখীর প্রাণভোমরাটি বেরিয়ে যেতে চাইল, তার কাছে পৃথিবীকে খুব অশ্লীল আ স্বার্থপর মনে হলো। সে আনমনে হাঁটতে শুরু করে দিল। হঠা‍ৎ করে পিছন থেকে এক যুবকের ধাক্কা খেয়ে বৈশাখী কিছু দূরে মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ল। আর তার পূর্বের অবস্থানে একটি গাছ কটমঠ করে ভেঙ্গে পড়ল ভূমিকম্পের মতো। ভিজে চুপসে থাকা যুবকটি বৈশাখীকে টেনে তুলল এবং বললো ব্যাপারটা কি , এই ঝড়ের রাতে একলা কোথায় যাচ্ছেন। বৈশাখীর ভয় আরও বেড়ে গেল, এই যুবকটি ও কী তাদের মতো অশ্লীল,স্বার্থপর হবে। তার ধারনা মিথ্যে হলো, যুবকটি আর তেমন কথাই বলে নি, তাকে শুধু বাড়ি পৌঁছিয়ে বিদায় নিয়ে চলে গেল। যুবকটি সম্পর্কে তার আর কিছুই জানা হলো না। ভালো মানুষটি ঝড়ের মতোই তার কাছে থেকে দূরে চলে গেল।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এস, এম, ফজলুল হাসান অনেক ভালো লাগলো
মেহেদী আল মাহমুদ সত্যি সত্যি এমন হয় না কি?
শাহেদুজ্জামান লিংকন আহারে এতো কষ্ট দিলো।
ওয়াছিম বাস্তব কখনও এমন হয় না, ছোট গল্পে কিছুটা হলেও বাস্তবা থাকে, কল্পকাহিনি বাদে।
মোঃ শামছুল আরেফিন পাভেল ছেলেটা এত খারাপ হল কিভাবে?বৈশাখিকে একা ফেলে কেন চলে গেল সে?ভাল লিখেছেন।
মোঃ মিজানুর রহমান তুহিন golpota onak sundor tobe kahinita aro romanc deya jeto..amay onek valo lagese karon poribes manusk manus na jene koto ki montobbo kore R akhono prithibite valo manus ase ja apnar golper oi jubok die proman koresen.ja houq apnar golper name ar amar kobitar name aki so apnak best-5 amar kobitati porben asa kori(www.golpokobita.com/golpokobita/article/228/873
সূর্য @ রয়, গল্পেতো সব চরিত্রের বর্ণনা আসেনা, তবুও গল্প এগিয়ে চলে। টেনেটুনে আরএকটু বড় করা যেতোনা? ভালোই হয়েছে
স্য়েদা তাবাসসুম আহমেদ আমার লেখা নববর্ষের চিঠি এবং এক পহেলা বৈশাখে পরার আমন্ত্রণ রইলো.....
স্য়েদা তাবাসসুম আহমেদ ভালো লিখেচেন...আপনি লিখতে থাকলে ইনসাল্লাহ ভালো করবেন....

২৬ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪